কলেজের পরিচিতিঃ
  লালমাটিয়ার সি ব্লকে সুপরিসর ও নিরাপদ পরিবেশে অবস্থিত কলেজের ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ সহ সকল ব্যাচের ছাত্রীবৃন্দ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে এবং আশাতীত ফলাফল করে উত্তীর্ণ হয়।"খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান" বিভাগ থেকে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১ম,৩য়, ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম স্থান সহ আরো অন্যান্য সমূহ ধরে রেখেছে এই কলেজের ছাত্রীরা। উল্লেক্ষ্য যে ২০০৪ সালে নাদিমা আক্তার বি.এসসি(অনার্স) পরীক্ষায় ১ম শ্রেণিতে ১ম স্থান লাভ করে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদকের জন্য মনোনীত হয়। সে ভারত সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চতর ডিগ্রীও লাভ করেছে। উল্লেখিত পরীক্ষাগুলোতে অন্যান্য বাকী সকল বিভাগের ছাত্রীরা সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১ম শ্রণিতে ১ম, ৪র্থ,৬ষ্ঠ এবং ৮ম স্থান লাভ করে।
   উল্লেক্ষ্য অত্র কলেজের গর্ভনিং বডির বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাহফুজা খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিন্ডিকেট সদস্য।
অধ্যাপক মাহফুজা খানম ২০১০ সাল থেকে অত্র কলেজে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মাহফুজা খানম ১৯৪৬ সালের ১৪ এপ্রিল কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলা বাজার গার্লস স্কুলে পড়েছেন। ১৯৬৬ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক লাভ করেন এবং ১৯৬৭ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে লন্ডনের সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি পান। মাহফুজা খানম একজন শিক্ষিকা, শিক্ষাবিদ, নারীনেত্রী, সমাজসেবী, মুক্তিযোদ্ধা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এবং একমাত্র নারী ভিপি। তিনি শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক লাভ করেন। মাহফুজা খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিন্ডিকেট সদস্য। তিনি শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৬৬-৬৭ ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটরের সদস্য হিসেবে আছেন। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিশুসংগঠন খেলাঘর আসরের চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ঢাকার মানিকগঞ্জ সমিতি, পেশাজীবি নারী সমাজ এবং বিশ্ব শিক্ষক ফেডারেশনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের সভাপতি।
ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকনমিক্স এর ২৬তম বর্ষ অতিক্রান্ত হতে চলেছে। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে আমাদের মূল লক্ষ্য উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী মেয়েদেরকে একটি উপযুবক্ত প্রস্তুতি প্রদান করা। এছাড়াও বি.এসসি অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য অভিবাভকদের আর্থিক সংশ্লিষ্টতার দিকটি সহনীয়, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ রাখার বিষয়টি কলেজ কতৃপক্ষের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই। হোম ইকনমিক্স বা গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিষয়ে আগ্রহী সকল ছাত্রীকে আমরা স্বাগত জানাই। সুশীল সমাজের কাছে রইলো আমাদের প্রতি সহযোগীতা প্রদানের অনেক প্রত্যাশা।