খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান
সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে হলে খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কিত সঠিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। পুষ্টি সম্পর্কিত বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যগত সমস্যা সমাধানে এবং সুস্বাস্থ্য অর্জনের জন্য বর্তমানবিশ্বে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিষয়ে চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকনমিক্স এ দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিষয়ে ছাত্রীদের পাঠদান করানো হয় এবং এ কলেজ এর ছাত্রীদের ফলাফল সর্বদা ঈর্ষণীয়। খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগ থেকে অধ্যয়ন সম্পন্ন করে যে সকল ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে সে সকল ক্ষেত্র গুলো হলঃ
- বি.সি.এস উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদ।
- ক্লিনিক্যাল ডায়টেশিয়ান হিসাবে সরকারী বেসরকারী হাসপাতালে।
- বিসিএস পরীক্ষায় অংশ গ্রহন এবং শিক্ষকতাসহ সকল ক্যাডারে সরকারি চাকুরী ।
- রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গবেষণা।
- খাদ্য উৎপাদন ও মাননিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগ ।
- আন্তর্জাতিক বিভিন্ন এনজিও এবং সংস্থায় ( FAO, WHO, UNICEF, ICDDRB, BRAC, ASA )কাজের সুযোগ ।
- সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং, উচ্চ শিক্ষার বিষয় হিসেবে খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিষয়টি নির্বাচন করা সময়োপযোগী সঠিক সিন্ধান্ত।
খাদ্য ও পুষ্টি সম্পর্কে বিজ্ঞান সম্মত উপায়ে সঠিক জ্ঞান অর্জনের জন্য অবশ্যই খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়নের বিকল্প নেই। একজন পুষ্টিবিদ খাদ্য গ্রহন সম্পর্কে সঠিক নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি জনগনের মাঝে সঠিক পুষ্টি জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একজন ছাত্রী উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিষয়কে নির্বাচন করতে পারে। ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকনমিক্স এ অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান এবং আধুনিক Food Lab, Science Lab, Physics Lab পরিচালনা করা হয়। পুষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন কার্যক্রমে এ কলেজ থেকে ছাত্রীরা অংশ গ্রহণ করে এবং এ কলেজ থেকে বাস্তবিক ও প্রয়োগিক জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রতি বছর ছাত্রীদের বিভিন্ন হাসপাতালে ইন্টার্ন ডায়েটিশিয়ান হিসেবে এবং প্রাতিষ্ঠানিক খাদ্য ব্যবস্থাপনার অংশ হিসেবে পর্যটন কর্পোরেশনের খাদ্য পরিবেশন প্রতিষ্ঠান ও Food Processing Industry পরিদর্শন করানো হয় যা তাদের ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন ও ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্র তৈরিতে সহায়ক। এ কলেজ থেকে অধ্যয়ন সম্পন্ন করে ছাত্রীরা সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান হিসেবে, রিসার্চ ইনস্টিটিউটে গবেষক হিসেবে, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এছাড়াও ন্যাশনাল কলেজ অব হোম ইকনমিক্স থেকে ছাত্রীরা খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিষয়ে বি.এসসি ও এম.এস সম্পন্ন করে আরও উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের জন্য বিদেশে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ অর্জন করেছে, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের এবং গৌরবের।